সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

জান্নাত কেমন হবে ???

 


জান্নাত কেমন হবে এ ব্যাপারে প্রকৃত জ্ঞান মহান আল্লাহ তাআলার কাছেই রয়েছে। জান্নাতে রয়েছে এমন নেয়ামত যা কখনো কোনো চক্ষু অবলোকন করেনি। কোনো কর্ণ শ্রবণ করেনি। এমনকি কোনো অন্তর কল্পনাও করেনি। এরপরও আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে এবং রাসূল (সা.) হাদিস শরিফে বান্দাদের বুঝার সুবিধার্থে কিছু কিছু বর্ণনা দিয়ে দিয়েছেন।

সেখান থেকেই সামান্য আলোচনা এখানে তুলে ধরছি।

আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে বলেন,

يَا عِبَادِ لَا خَوْفٌ عَلَيْكُمُ الْيَوْمَ وَلَا أَنْتُمْ تَحْزَنُونَ (68) الَّذِينَ آمَنُوا بِآيَاتِنَا وَكَانُوا مُسْلِمِينَ (69) ادْخُلُوا الْجَنَّةَ أَنْتُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ تُحْبَرُونَ (70) يُطَافُ عَلَيْهِمْ بِصِحَافٍ مِنْ ذَهَبٍ وَأَكْوَابٍ وَفِيهَا مَا تَشْتَهِيهِ الْأَنْفُسُ وَتَلَذُّ الْأَعْيُنُ وَأَنْتُمْ فِيهَا خَالِدُونَ (71) وَتِلْكَ الْجَنَّةُ الَّتِي أُورِثْتُمُوهَا بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ (72) لَكُمْ فِيهَا فَاكِهَةٌ كَثِيرَةٌ مِنْهَا تَأْكُلُونَ (73

‘হে আমার বান্দাগণ! আজ তোমাদের কোনো ভয় নেই এবং তোমরা দুঃখিতও হবে না। যারা আমার আয়াতে বিশ্বাস করেছিলে এবং আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম) ছিলে। তোমরা এবং তোমাদের সহধর্মিণীগণ সানন্দে জান্নাতে প্রবেশ কর। সবর্ণের থালা ও পান পাত্র নিয়ে ওদের মাঝে ফিরানো হবে, সেখানে রয়েছে এমন সমস্ত কিছু, যা মন চায় এবং যাতে নয়ন তৃপ্ত হয়। সেখানে তোমরা চিরকাল থাকবে। এটিই জান্নাত, তোমরা তোমাদের কর্মের ফলস্বরূপ যার অধিকারী হয়েছ। সেখানে তোমাদের জন্য রয়েছে প্রচুর ফলমূল, তা থেকে তোমরা আহার করবে।’  [সূরা যুখরুফ, আয়াত: ৬৮-৭৩]

অন্য আয়াতে ইরশাদ করেন,

‘নিশ্চয় সাবধানীরা থাকবে নিরাপদ স্থানে- বাগানসমূহে ও ঝরণারাজিতে, ওরা পরিধান করবে মিহি ও পুরু রেশমী বস্ত্র এবং মুখোমুখি হয়ে বসবে। এরূপই ঘটবে ওদের; আর আয়তলোচনা হুরদের সাথে তাদের বিবাহ দেব। সেখানে তারা নিশ্চিন্তে বিবিধ ফলমূল আনতে বলবে। (ইহকালে) প্রথম মৃত্যুর পর তারা সেখানে আর মৃত্যু আস্বাদন করবে না। আর তিনি তাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা করবেন। (এ প্রতিদান) তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহস্বরূপ। এটিই তো মহা সাফল্য।’ [সূরা দুখান, আয়াত:  ৫১-৫৭]

হাদিস শরিফে রাসূল (সা.) বলেন,

‘জান্নাতবাসীরা জান্নাতের মধ্যে পানাহার করবে; কিন্তু পেশাব-পায়খানা করবে না, তারা নাক ঝাড়বে না। বরং তাদের ঐ খাবার ঢেকুর ও কস্তুরীবৎ সুগন্ধময় ঘাম (হয়ে দেহ থেকে বের হয়ে যাবে)। তাদের মধ্যে তাসবীহ ও তাকবীর পড়ার স্বয়ংক্রিয় শক্তি প্রক্ষিপ্ত হবে, যেমন শ্বাসক্রিয়ার শক্তি স্বয়ংক্রিয় করা হয়েছে।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৮৩৫]

অন্য হাদিসে রাসূল (সা.) বলেন,

‘মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘আমি আমার পুণ্যবান বান্দাদের জন্য এমন জিনিস প্রস্তুত রেখেছি, যা কোনো চক্ষু দর্শন করেনি, কোনো কর্ণ শ্রবণ করেনি এবং যার সম্পর্কে কোনো মানুষের মনে ধারণাও জন্মেনি।’ তোমরা চাইলে এ আয়াতটি পাঠ করতে পার; যার অর্থ, ‘কেউই জানে না তার জন্য তার কৃতকর্মের বিনিময় স্বরূপ নয়ন-প্রীতিকর কী পুরস্কার লুকিয়ে রাখা হয়েছে।’ [সূরা সাজদাহ, আয়াত: ১৭; সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩২৪৪]

আরেকটি হাদিসে রাসূল (সা.) বলেন,

‘জান্নাতে প্রবেশকারী প্রথম দলটির আকৃতি পূর্ণিমা রাতের চাঁদের মত হবে। অতঃপর তাদের পরবর্তী দলটি আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রের ন্যায় জ্যোতির্ময় হবে। তারা [জান্নাতে] পেশাব করবে না, পায়খানা করবে না, থুথু ফেলবে না, নাক ঝাড়বে না। তাদের চিরুনি হবে স্বর্ণের। তাদের ঘাম হবে কস্তুরীর ন্যায় সুগন্ধময়। তাদের ধুনুচিতে থাকবে সুগন্ধ কাঠ। তাদের স্ত্রী হবে আয়তলোচনা হুরগণ। তারা সকলেই একটি মানব কাঠামো, আদি পিতা আদমের আকৃতিতে হবে [যাদের উচ্চতা হবে] ষাট হাত পর্যন্ত।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩২৪৫]

এ ছাড়াও কুরআন ও হাদিসের ভাণ্ডারে জান্নাতের আলোচনা সংশ্লিষ্ট অনেক আয়াত ও হাদিস রয়েছে।

১. জান্নাতের ১০০টি স্তর রয়েছে। প্রতি দুই স্তরের মাঝে আসমান-জমিনের সমান ব্যবধান বর্তমান। ফিরদাউস হচ্ছে সবচেয়ে উঁচু স্তরের জান্নাত, সেখান থেকেই জান্নাতের চারটি ঝর্ণা প্রবাহিত হয় এবং এর উপরেই (আল্লাহ তাআলার) আরশ স্থাপিত। নবী (সাঃ) বলেছেন, ‘‘তোমরা আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করার সময় ফিরদাউসের প্রার্থনা করবে।’’ (তিরমিজি ২৫৩১)

২. জান্নাতে রয়েছে নির্মল পানির সমুদ্র, মধুর সমুদ্র, দুধের সমুদ্র এবং মদের সমুদ্র। এগুলো থেকে আরো ঝর্ণা বা নদী-সমূহ প্রবাহিত হবে। (তিরমিজি ২৫৭১) জান্নাতের এই মদে জ্ঞান শূন্য হয় না, কোনো মাথা ব্যথায়ও ধরে না। (সূরা আল-ওয়াকিআ ১৯)

৩. জান্নাতবাসীনী কোনো নারী যদি পৃথিবীর দিকে উঁকি দেয়, তবে গোটা জগত আলোকিত হয়ে যাবে এবং আসমান-জমিনের মধ্যবর্তী স্থান সুগন্ধিতে মোহিত হয়ে যাবে। তাদের মাথার ওড়নাও গোটা দুনিয়া ও তার সম্পদরাশি থেকে উত্তম। (বুখারী ৬৫৬৮)

৪. জান্নাতে কারো ধনুক অথবা কারো পা রাখার স্থান দুনিয়া ও তাতে যা আছে, তা থেকেও উত্তম। (বুখারী ৬৫৬৮)

৫. জান্নাতের একটি গাছের নিচের ছায়ায় কোনো সওয়ারী যদি ১০০ বছরও সওয়ার করে, তবুও তার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না। (বুখারী ৬৫৫২)

৬. জান্নাতে মুক্তা দিয়ে তৈরি ৬০ মাইল লম্বা একটি তাঁবু থাকবে। জান্নাতের পাত্র ও সামগ্রী হবে সোনা ও রূপার। (বুখারী ৪৮৭৯)

৭. সেখানে জান্নাতীগণের জন্য থাকবে প্রাসাদ আর প্রাসাদ। প্রাসাদের উপর নির্মিত থাকবে আরো প্রাসাদ। (সূরা আয-যুমার ২০)

৮. পূর্ণিমার চাঁদের মতো রূপ ধারণ করে জান্নাতীরা জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের অন্তরে কোনো হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না। তারা কখনো রোগাক্রান্ত হবে না। তাদের প্রস্রাব-পায়খানা হবে না। তারা থুথু ফেলবে না। তাদের নাক দিয়ে ময়লা ঝড়বে না। তাদের চিরুনী হবে সোনার চিরুনী। তাদের ধুনীর জ্বালানী হবে আগরের। তাদের গায়ের গন্ধ হবে কস্তুরির মতো সুগন্ধি। তাদের স্বভাব হবে এক ব্যক্তির ন্যায়। তাদের শারীরিক গঠন হবে (আদী পিতা) আদাম (আঃ)-এর মতো (অর্থাৎ ৬০ হাত লম্বা)। (বুখারী ৩৩২৭)

৯. জান্নাতীদের খাবারগুলো ঢেকুর এবং মিশকঘ্রাণযুক্ত ঘর্ম দ্বারা নিঃশেষ হয়ে যাবে। (মুসলিম ৭০৪৬)

১০. জান্নাতীরা সুখ-শান্তি ও স্বাচ্ছন্দ্যে ডুবে থাকবে। হতাশা, দুশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনা থাকবে না। পোশাক-পরিচ্ছেদ ময়লা হবে না, পুরাতন হবে না। তাদের যৌবনও নিঃশেষ হবে না। (তিরমিজি ২৫২৬)

১১. জান্নাতবাসীরা সব-সময় জীবিত থাকবে। কখনো মৃত্যুবরণ করবে না। সব-সময় যুবক-যুবতি থাকবে, বৃদ্ধ হবে না। (মুসলিম ৭০৪৯)

১২. জান্নাতবাসীদের প্রতি আল্লাহ তাআলা বলবেন, ‘‘আমি তোমাদের উপর আমার সন্তুষ্টি অবধারিত করবো। অতঃপর আমি আর কখনো তোমাদের উপর অসন্তুষ্ট হবো না।’’ (বুখারী ৬৫৪৯)

১৩. জান্নাতের ইট স্বর্ণ ও রোপ্য দ্বারা তৈরি। কঙ্কর হলো মণিমুক্তা, আর মসল্লা হলো সুগন্ধীময় কস্তুরী। (তিরমিজি ২৫২৬)

১৪. জান্নাতের সকল গাছের কাণ্ড হবে সোনার। (তিরমিজি ২৫২৫)

১৫. জান্নাতের ১০০ স্তরের যেকোনো এক স্তরে সারা বিশ্বের সকল মানুষ একত্রিত হলেও তা যথেষ্ট হবে। (তিরমিজি)

১৬. জান্নাতে প্রত্যেক ব্যক্তিকে ১০০ জন পুরুষের সমান যৌনশক্তি ও সঙ্গম ক্ষমতা প্রদান করা হবে। (তিরমিজি ২৫৩৬)

১৭. জান্নাতবাসীগণ লোম, গোঁফ ও দাড়িবিহীন হবে। তাদের চোক সুরমায়িত হবে। (তিরমিজি ২৫৪৫)

১৮. জান্নাতবাসী উট ও ঘোড়া চাইলে দু’টোই পাবে এবং তা ইচ্ছেমতো দ্রুত উড়িয়ে নিয়ে যাবে। তাতে সেসব জিনিস পাবে, যা কিছু মন চাইবে এবং নয়ন জুড়াবে। (তিরমিজি)

১৯. জান্নাতে একটি বাজার থাকবে। প্রত্যেক জুমুআয় জান্নাতী লোকেরা এতে একত্রিত হবে। তারপর উত্তরদিকের বায়ু প্রবাহিত হয়ে সেখানকার ধুলাবালি তাদের মুখমণ্ডল ও পোশাক-পরিচ্ছদে গিয়ে লাগবে। এতে তাদের সৌন্দর্য এবং শরীরের রং আরো বেড়ে যাবে। তারপর তারা নিজের পরিবারের কাছে ফিরে আসবে। এসে দেখবে, তাদেরও শরীরের রং এবং সৌন্দর্য বহু বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের পরিবারের লোকেরা বলবে, ‘আল্লাহর শপথ! আমাদের নিকট হতে যাবার পর তোমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে।’ উত্তরে তারাও বলবে, ‘আল্লাহর শপথ! তোমাদের শরীরের সৌন্দর্য তোমাদের নিকট থেকে যাবার পর বহুগুণে বেড়ে গেছে।’ (মুসলিম ৭০৩৮)

২০. জান্নাতে একজন কৃষি কাজ করতে চাইবে। তারপর সে বীজ বপণ করবে এবং চোখের পলকে অঙ্কুরিত হবে, পোক্ত হবে এবং ফসল কাটা হবে। এমনকি পাহাড় পরিমাণ স্তুপ হয়ে যাবে। আল্লাহ তাআলা বলবেন, ‘‘হে আদাম সন্তান! এগুলো নিয়ে যাও, কোনো কিছুই তোমাকে তৃপ্তি দেয় না!’’ (বুখারী ২৩৪৮)

২১. জান্নাতে এমন সব নিয়ামত প্রস্তুত রয়েছে, যা কখনো কোনো চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো অন্তর কল্পনাও করেনি। (বুখারী ৩২৪৪)

জান্নাতীরা জান্নাতে নিজ গৃহে অবস্থান করবেন । এমন সময় দরজায় কেউ কড়া নাড়বে। দরজা খুলে দেখবেন একজন ফেরেস্তা দাঁড়িয়ে । তিঁনি বলবেন ‘চলো আল্লাহ সুবহানাহু ওতায়ালার সাথে দেখা করে আসি।

তিনি তখন খুবই উল্লসিত হয়ে বের হয়ে এসে দেখবেন খুব সুন্দর একটা বাহন তাঁর জন্য প্রস্তুত । বাহন ছুটে চলবে খুব বিস্তৃত নয়নাভিরাম মাঠ দিয়ে যা স্বর্ণ আর মণি মুক্তা খচিত পিলারে সাজানো ।

জান্নাতিরা খুব পরিতৃপ্তি নিয়ে ছুটবে । এমন সময় আলো দেখবে আলোর পর আরো আলো । তারপর আরো আলো ।

জান্নাতীরা তখন উল্লসিত হয়ে ফেরেস্তাদের জিজ্ঞেস করবেন ‘ আমরা কি আল্লাহকে দেখেছি ?’

না, আমরা সে পথেই ছুটছি । ফেরেস্তা বলবেন । হঠাৎ জান্নাতীরা শুনবেন গায়েবী আওয়াজ -

* আস সালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল জান্নাহ *

 আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা স্বয়ং সালাম দিচ্ছেন জান্নাতীদের ।

খুবই আবেগময় হবে সে মুহূর্তটা !!!

আল্লাহু আকবার ।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালার সালামের জবাবে তখন জান্নাতীরা বলবেন,

আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম, ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারকতা ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম।

হে আল্লাহ! আপনি শান্তিময় এবং আপনা হতেই শান্তি উৎসারিত হয়।। আপনি বরকতময় হে মহান ও সম্মানের অধিকারী । তখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা জিজ্ঞেস করবেন, তোমরা কি খুশী ? তোমরা কি সন্তুষ্ট ? ও আল্লাহ, জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচিয়ে আমাদের আপনি জান্নাত দিয়েছেন ! আমরা অসন্তুষ্ট হই কি করে ! জান্নাতীরা জবাব দিবেন । আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা তখন জিজ্ঞেস করবেন,

তোমাদের আর কি চাই ? তখন জান্নাতীরা (ইনশাআল্লাহ) বলবেন- আর কিছু চাই না । না না । আজ তো দেয়ার দিন । আমি আরও দিব । বলো কি চাই ।

তখন জান্নাতীরা (ইনশাআল্লাহ) সমস্বরে বলে উঠবেন- ও আল্লাহ, আমরা আপনাকে দেখতে চাই ।

আপনাকে দেখি নি কখনও । আপনাকে আমরা ভালবাসি । আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা তখন পর্দা সরিয়ে দেবেন ।

সৃষ্টি এবং স্রষ্টা মুখোমুখি । চোখ বন্ধ করে একটু চিন্তা করুন । সারাজীবন দুনিয়াতে যাকে ডেকেছেন । যাকে না দেখে চোখ দুটো অঝোরে কেঁদেছেন । কাউকে না বলা আপনার একান্ত কথাগুলো যাকে বলেছেন । খুব বিপদে কেউ নেই পাশে, কেঁদে কেঁদে যাকে বলেছিলেন।

পকেট ফাঁকা, ঘরে খাবার নেই, অনিশ্চিত উৎস থেকে খাবারের ব্যবস্হা যিনি করেছেন । কত চাওয়া, মাকে বলেন নি, বাবাকেও না , রাতের আঁধারে কেঁদে কেঁদে যাকে বলেছিলেন ।

কত অপরাধ করেছি, কেউ দেখে নি । একজন দেখেছেন কিন্তু গোপন রেখেছেন । বারবার ভুল করেছি, যিনি মাফ করে দিয়েছেন, অদৃশ্য ইশারায় সাবধান করেছেন । মমতাময়ী মা, আমার আদরের সন্তান, প্রিয়তমা স্ত্রীর ভালবাসা দিয়ে অদৃশ্য ভালবাসায় আমাকে যিনি ভালবেসেছেন সবচেয়ে বেশী । সবচেয়ে আপন, সুমহান সেই প্রতিপালকের মুখোমুখি ...

সাহাবীদের প্রশ্নের জবাবে নবীজী বলেছেন , পৃথিবীতে আমরা যেমন চাঁদকে স্পষ্ট দেখি , আমরা আল্লাহ সুবহানুওতায়ালাকে তেমনি দেখব । ইনশাআল্লাহ ।

এ যে জান্নাতের সবচেয়ে বড় নেয়া নেয়ামাহ্ !

ইয়া আল্লাহ - সেই মহা সৌভাগ্যবানদের তালিকায় আমাদের নামটা যোগ করে দিন । আমিন ।



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমাদের মা বোনদের জন্য কিছু প্রশ্ন উত্তর ।

  স্ত্রী: আজকে তোমাকে আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।। স্বামী: বল। স্ত্রী: তুমি এত তোমার বৃদ্ধা মাকে নিয়ে ভাবো কেন। আমাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। আমাদের ছেলে মেয়ের কোন চিন্তা করবার না?? স্বামী: আমি ঘরের বড় ছেলে এটা আমার দায়িত্ব।আর তা ছাড়া মা বাবা আমাকে অনেক কষ্টে মানুষ করেছেন আমি তাকে নিয়ে না ভাবলে কে ভাববে। স্ত্রী: তোমার তো আরো ভাই আছে তারা দেখবে। স্বামী: তাদের স্ত্রীরাও যদি তোমার মত এমন বলে । তাহলে আমার বৃদ্ধা মাকে কে দেখবে?? স্ত্রী: আমি এতো কিছু জানিনা। আমি পারবো না তোমার মায়ের খাটনি খাটতে।আর তোমাকেও দিবো না তোমার মায়ের পিছনে এত টাকা খরচ করতে। স্বামী: আজ থেকে আমি আমার মায়ের পায়ের নিচে ঘুমাবো। তোমার পাশে ঘুমানোর চেয়ে আমার মায়ের পায়ের নিচে ঘুমানো হাজার গুণ শান্তি! স্ত্রী: রাগান্বিত হয়ে!!আজ বুঝলাম তুমি আমাকে একটুও ভালোবাসো না!! তোমার সাথে আর সংসার করা যাবে না!! আচ্ছা আরেকটা কথার উত্তর দাও! তুমি আমাকে না তোমার মাকে বেশি ভালোবাসো!!? স্বামী: দুজনকে আমার জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসি!! স্ত্রী: কাকে বেশি! ধরো আমি আর তোমার মা একটা বিপদে পড়েছি! যে কেউ একজনকে বাঁচাতে পারবে!! এখন

স্বামীকে বশ করার হালাল যাদু

অনেকেই অভিযোগ করেন স্বামী তার কথা শুনে না বা পরনারীতে আসক্ত। এজন্যও বিভিন্ন রুকইয়াহও চেয়ে বসেন। কিন্তু আপনি কি জানেন সম্পূর্ণ হালাল ভাবেই আপনি আপনার স্বামীকে যাদু করতে পারেন? এর জন্য দরকার একটু সচেতনতা।  আমাদের সমাজে স্বামী-স্ত্রী অমিলের পিছনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একে অপরের প্রতি দায়িত্ব, অধিকার ও ভালোবাসার অভাব কাজ করে। বেশিরভাগ দম্পত্তিই জানেন না তাদের এই “বিবাহ বন্ধনের উদ্দেশ্য কি”। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা সূরাতুর রুম এর ২১ নং আয়াতে বলেনঃ “এবং তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে হচ্ছে তিনি তোমাদের মধ্যে থেকে তোমাদের জন্য সঙ্গী সৃষ্টি করেছেন, যেন তোমরা তাদের মাঝে প্রশান্তি (সুকুন) খুঁজে পাও এবং তিনি তোমাদের মাঝে দয়া ও ভালোবাসা সৃষ্টি করেছেন।” এই আয়াতে আল্লাহ আমাদেরকে বিয়ের উদ্দেশ্য বলে দিয়েছেন। আল্লাহ আমাদের সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন যেন আমরা একে অপরের মাঝে “প্রশান্তি” খুঁজে পাই। এই প্রশান্তি বলতে শারিরীক ও মানসিক দুইধরণের প্রশান্তিকেই অন্তর্ভুক্ত করে। শারিরীক প্রশান্তির কথা সবাইই বুঝি, কিন্তু মানসিক প্রশান্তির ব্যাপারে কতজনই বা সচেতন। আপনি চিন্তা করুন খাদিজাহ বিনতে খুইয়ালিদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার কথা

মাহারাম এবং গায়রে মাহারাম কারা ?

মাহারামঃ  যে সকল পুরুষের সামনে নারীর দেখা দেওয়া, কথা বলা  জায়েজ এবং যাদের সাথে বিবাহ বন্ধন সম্পূর্ণ  হারাম তাদের কে শরীয়তের পরিভাষায় মাহরাম বলে। গায়রে মাহারামঃ  যে সকল পুরুষের সামনে যাওয়া নারীর জন্য শরীয়তে জায়েজ নয় এবং যাদের সাথে বিবাহ বন্ধন বৈধ তাদের কে গায়রে মাহরাম বলে। সূরা আন নূরের ৩১ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা নারীর মাহরাম নির্ধারিত করে দিয়েছেন । সূরা আন নূরের পূর্ণ আয়াতঃ "আর মুমিন নারীদেরকে বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ না করে। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাই-এর ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীগণ, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে নিজেদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজেদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা