সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ১৬, ২০১২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অন্যায়ের প্রতিরোধ ঈমানের দাবি

“ হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত , রাসূল (সা) বলেছেন , তোমাদের সামনে যখন ইসলামবিরোধী কাজ হতে দেখবে তখন হাত দিয়ে প্রতিরোধ করবে। যদি এতে অক্ষম হও তবে মুখ দিয়ে প্রতিবাদ জানাবে। যদি তাতে অক্ষম হও তবে অন্তর দিয়ে তাকে ঘৃণা করবে , তবে এটি দুর্বল ঈমানের পরিচায়ক। ” ( সহীহ মুসলিম)

তিন অপরাধের চার শাস্তি

তিন অপরাধের চার শাস্তিঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর একটি হাদীসের সারকথা এরকম যে, তিন ধরনের অপরাধে আল্লাহ তাআলা চার ধরনের শাস্তি দেন। প্রথমে অপরাধগুলো ও পরে তার শাস্তি উল্লেখ করা হলো। প্রথম অপরাধ : মুসলমানরা আলেমদের ঘৃণা করবে, আলেমদের প্রতি বিরাগ ভাব দেখাবে। দ্বিতীয় অপরাধ : বাজারে বড় বড় বিল্ডিং নির্মাণ করবে। মসজিদের হেফাজত করবে না। অথচ মসজিদ ঝাড়ু দিলে সগীরা গুনাহ মাফ হয়ে যায়। তৃতীয় অপরাধ : যৌতুক নিয়ে বিয়ে করা হবে। এই হাদীস শুনে হযরত আবু বকর (রাঃ) শেষ রাতে মসজিদে চলে গেলেন। দেখলেন অন্ধকারে মসজিদের উত্তর পাশে কে যেন বসে আছেন। আস্তে আস্তে কাছে গিয়ে দেখেন তিনি হলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)। হযরত আবু বকর (রাঃ) সালাম দিলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) উত্তর দিয়ে বললেন, আবু বকর! তুমি এত রাতে মসজিদে কেন? হযরত আবু বকর (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ আপনার উত্তর পরে দিব। আগে বলেন, আপনি কিসের জন্য আসলেন? রাসূলুল্লাহ (সাঃ)বললেন, মসজিদে ঝাড়ু দিলে গোনাহ মাফ হয়ে যায়। আর তোমরা আমাকে সম্মান করে মসজিদ ঝাড়ু দিতে দাও না। তাই আমি রাতে মসজিদ ঝাড়ু দেওয়ার জন্য এসেছি। এবার হযরত আবু বকর (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার ব্যাপারে আ

অচিরেই আমাকে দেখবে জাগ্রত অবস্থায়

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি আমাকে দেখল সে অচিরেই আমাকে দেখবে জাগ্রত অবস্থায়। [হাশরের ময়দানে যদি ঈমানের সাথে মৃত্যু হয়] । আর শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬৫৯২, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৫০২৫} রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে স্বপ্নে অবলোকনকারী নবীকে দেখবে কিয়ামত দিবসে যদি লোকটি ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ করতে পারে

যে নারী পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে নারী পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে, রমযানের সিয়াম পালন করে, আপন সতীত্ব রক্ষা করে এবং স্বামীর আনুগত্য করে, তাকে বলা হবে, যে দরজা দিয়ে ইচ্ছে জান্নাতে প্রবেশ কর।’ [মুসনাদ আহমাদ : ১৬৬১]

মৃত্যুর পূর্ব অজুহাত

“প্রত্যেকেই মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্তে আরো বাচাঁর সময় চায়, আর যারা বেঁচে আছে তারা মৃত্যু হতে অনেক সময় বাকি, এই বলে অজুহাত দেখায়।” – আলী ইবনে আবু তালিব

তুমি আমাকে মাফ করে দাও

হে আল্লাহ, তুমি আমার প্রভু তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ আর আমি হচ্ছি তোমার বান্দা এবং আমি আমার সাধ্য-মত তোমার প্রতিশ্রুতিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ রয়েছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হতে তোমার আশ্রয় ভিক্ষা করি। আমার প্রতি তোমার নিয়ামতের স্বীকৃতি প্রদান করছি, আর আমি আমার গুনাহ-খাতা স্বীকৃতি করছি। অতএব তুমি আমাকে মাফ করে দাও নিশ্চয়ই তুমি ভিন্ন আর কেউ গুনাহ মার্জনাকারী নেই। [বোখারি : ৫৮৩১]

কোরআন পাহাড়ের উপর অবতীর্ণ করতাম

যদি আমি এই কোরআন পাহাড়ের উপর অবতীর্ণ করতাম, তবে তোমরা দেখতে যে, পাহাড় বিনীত হয়ে আল্লাহ তা’আলার ভয়ে বিদীর্ণ হয়ে গেছে। (কিন্তু) আমি (কোরআনের) এসব দৃষ্টান্ত মানুষের জন্যে বর্ণনা করেছি, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে। [আল কুরআনঃ সূরা আল হাশর : ২১]

অত্যাচারিত হলে তাকে সাহায্য কর

►আসসালামু আলাইকুম◄ কেউ অত্যাচারিত হলে তাকে সাহায্য করা এবং কেউ অত্যাচার করতে উদ্যত হলে তাকে নিবৃত করাও তাকে সাহায্য করার সামিল। নবী (সা) বলেন, তোমার ভাই কে সাহায্য কর, সে অত্যাচারী হোক বা অত্যাচারিত। সাহাবী (রা) গণ প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল, অত্যাচারিত কে সাহায্য করার বিষয়টি তো বুঝলাম কিন্তু অত্যাচারীকে কিভাবে সাহায্য করব ? তিনি বললেন, অত্যাচারীকে অত্যাচার করা হতে বাধা দেবে, তাহলেই তাকে সাহায্য করা হবে। [সহীহ বুখারী, ৬৯৫২]

পথ অবলম্বন

কায়স ইবন কাছীর থেকে বর্ণিত, তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইলম হাসিলের উদ্দেশ্যে কোনো পথ অবলম্বন করে আল্লাহ তার জান্নাতের পথ সহজ করে দেন। আর তালিবুল ইলমকে খুশি করতে ফেরেশতারা তাঁদের ডানা বিছিয়ে দেন। আলেমের জন্য আসমান ও যমীনের সবাই মাগফিরাত কামনা করতে থাকে। এমনকি পানির মাছগুলো পর্যন্ত। আর আবেদের ওপর আলেমের শ্রেষ্ঠত্ব সকল তারকার ওপর চাঁদের শ্রেষ্ঠত্বের মতো। নিশ্চয় আলেমগণ নবীদের উত্তরাধিকারী। তবে নবীগণ দিনার বা দিরহামের উত্তরাধিকারী বানান না। তাঁরা কেবল ইলমের ওয়ারিশ বানান। অতএব যে তা গ্রহণ করে সে পূর্ণ অংশই পায়।’ [তিরমিযী : ২৬৮২]

অযুর ফরজ সমূহ

হে ঈমানদারগন! তোমরা যখন নামাজের উদ্দেশ্যে ওঠ তখন তোমাদের মুখমণ্ডল এবং উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং মাথা মাসেহ কর এবং টাকনু পর্যন্ত ধৌত কর। {সূরা মায়েদা-৬০} - - - - - - - - --অযুর ফরজ সমূহ-- - - - - - - - - - - - - - - - - ১- চুলের গোড়া দিকে কপালের শেষাংশ থেকে থুতনির নিচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি থেকে অপর কানের লতি পর্যন্ত গোটা মুখ-মন্ডল ধৌত করা। [এখানে বিশেষভাবে খেয়াল রাখা প্রয়োজন যে কান এবং জুলফির মাঝের অংশটা জেনো শুকনা না থেকে যায়।] ২-দুই হাত কনুই সহ ধৌত করা। ৩-মাথার চার ভাগের এক ভাগ মাসাহ করা। ৪-দুই পা টাকনু সহ ধৌত করা। [অনেককেই দেখা যায় ঠিক মত টাকনু ধৌত করার প্রতি খেয়াল রাখেন না বিশেষকরে টাকনুর পিছন দিকটা শুকনো থেকে যায়, ঐ জায়গাটাও ধৌত করার প্রতি খেয়াল রাখি]

টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পড়ার ভয়াবহতা

টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পড়ার ভয়াবহতা টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পড়ার ভয়াবহতা আবু যর রা. বলেন, রাসূল-সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- বলেছেন, “কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তিন ব্যক্তির সাথে কথা তো বলবেনই না বরং তাদের দিকে তাকিয়েও দেখবেন না। এমনকি তিনি তাদেরকে গুনাহ থেকে পবিত্র করবেন না বরং তাদের জন্য রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তারা কারা? তবে এরা তো ধ্বংশ, তাদের বাঁচার কোন রাস্তা নাই। রাসূল-সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম- এ কথা তিনবার বলেছেন। তারা হলঃ ১) যে ব্যক্তি টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে কাপড় পরে। ২) যে ব্যক্তি মিথ্যা কসম খেয়ে ব্যাবসার পণ্য বিক্রি করে। ৩) যে ব্যক্তি কারো উপকার করে আবার খোটা দেয়। (মুসলিম, তিরমিযী, আবু দাউদ ও ইব্ন মাজাহ্)। আবু হুরায়রা নবী -সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম- থেকে বর্ণনা করে বলেন, “লুঙ্গির যে অংশ টাখনুর নিচে থাকবে তা আগুনে প্রজ্জলিত হবে।” (বুখারী) জাবের ইব্ন সুলাইম রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেন, “টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে কাপড় পড়ার ব্যাপারে সাবধান হও। কারণ, তা অহংকারের অন্তর্ভূক্ত। আর আল্লাহ অহংকার করাকে পছন