সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ ৭, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রমজানে ঋতুস্রাব/মাসিক/পিরিয়ড অবস্থায় করণীয়ঃ

  আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি, ওয়া বার-কাতু্হ্.! _ রমজানে ঋতুস্রাব/মাসিক/পিরিয়ড অবস্থায় করণীয়ঃ ১. প্রথমতঃ বলুন আলহামদুলিল্লাহ। কারণ পিরিয়ড অবস্থায় রোজা না রেখে আল্লাহর হুকুম পালনের জন্য আপনি প্রতি মুহূর্তে সওয়াব/নেকি পাচ্ছেন। ২. 'বিসমিল্লাহ' দিয়ে সবকিছু শুরু করুন। ৩. আল্লাহর ৯৯টি নাম মুখস্থ করুন। ৪.পবিত্র কোরআন পড়তে না পারার জন্য মন খারাপ করার কোন কারণ নাই। আপনি সূরা ইখলাস পড়তে পারেন। এটি সম্পূর্ণ কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ। তাই পরপর ৩ বার পাঠ করুন। এভাবে ২১বার পর্যন্ত অথবা তারও বেশি বার পাঠ করতে পারলে মাশাল্লাহ। ৫. প্রচুর যিকির করুন এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) - এর উপর প্রচুর দুরূদ প্রেরণ করুন। ৬. বেশি বেশি ইস্তিগফার করুন (আস্তাগফিরুল্লাহ!) ৭.ছোট ছোট দোয়া ও অধিক তাৎপর্যপূর্ণ আয়াত সমূহ অর্থসহ মুখস্থ করুন। ৮. সহীহ হাদিস পড়ুন। ৯. কুরআনের তাফসীর বা ওয়াজ শুনুন। ১০. মাতৃভাষায় কুরআনের অনুবাদ পড়ুন। ১১. হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) এর জীবনী পড়ুন। ১২. উম্মুল মু'মীনিন ও মহিলা সাহাবিয়াদের গল্প বা সাহাবা ই কিরামের গল্প/শিক্ষনীয় কাহিনী পড়ুন। ১৩. স্কুল-কলেজের, চেনা-জানা অথবা ঘরে বা বাইরের

আমাদের মা বোনদের জন্য কিছু প্রশ্ন উত্তর ।

  স্ত্রী: আজকে তোমাকে আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।। স্বামী: বল। স্ত্রী: তুমি এত তোমার বৃদ্ধা মাকে নিয়ে ভাবো কেন। আমাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। আমাদের ছেলে মেয়ের কোন চিন্তা করবার না?? স্বামী: আমি ঘরের বড় ছেলে এটা আমার দায়িত্ব।আর তা ছাড়া মা বাবা আমাকে অনেক কষ্টে মানুষ করেছেন আমি তাকে নিয়ে না ভাবলে কে ভাববে। স্ত্রী: তোমার তো আরো ভাই আছে তারা দেখবে। স্বামী: তাদের স্ত্রীরাও যদি তোমার মত এমন বলে । তাহলে আমার বৃদ্ধা মাকে কে দেখবে?? স্ত্রী: আমি এতো কিছু জানিনা। আমি পারবো না তোমার মায়ের খাটনি খাটতে।আর তোমাকেও দিবো না তোমার মায়ের পিছনে এত টাকা খরচ করতে। স্বামী: আজ থেকে আমি আমার মায়ের পায়ের নিচে ঘুমাবো। তোমার পাশে ঘুমানোর চেয়ে আমার মায়ের পায়ের নিচে ঘুমানো হাজার গুণ শান্তি! স্ত্রী: রাগান্বিত হয়ে!!আজ বুঝলাম তুমি আমাকে একটুও ভালোবাসো না!! তোমার সাথে আর সংসার করা যাবে না!! আচ্ছা আরেকটা কথার উত্তর দাও! তুমি আমাকে না তোমার মাকে বেশি ভালোবাসো!!? স্বামী: দুজনকে আমার জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসি!! স্ত্রী: কাকে বেশি! ধরো আমি আর তোমার মা একটা বিপদে পড়েছি! যে কেউ একজনকে বাঁচাতে পারবে!! এখন

জীবনে খুশি হওয়ার কিছু ইসলামিক উপদেশ ।

  “এবং আমি যখন অসুস্থ হয়ে পড়ি তখন তিনিই আমাকে সুস্থ করে তোলেন।” ( আশ শোয়ারা -৮০) এখানে বিভিন্ন বিষয়ে এমন কিছু উপদেশ উল্লেখ করা হলো, যা সবার জন্য কল্যাণকর। আবকারাত বলেছেন, “কঠোর পরিশ্রম করে, অলসতা পরিহার করে, মদ্যপান ত্যাগ করে এবং অতিরিক্ত বা বেশি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থেকে দীর্ঘকাল সুস্থ থাকুন।” কোন একজন বিজ্ঞ ব্যক্তি বলেছেন, “যে সুস্থতা কামনা করে তার উচিত যথাযথভাবে ও উত্তমরূপে আহার করা। তার পরিমিত পানি পান করা উচিত। দুপুরের আহারের পর সামান্য সময় শুয়ে বিশ্রাম করা ও রাতের খাবারের পর কিছুক্ষণ হাটা বিধেয়। পেট ভরে আহার করার ঠিক পরেই গোসল করা থেকে সাবধান থাকতে হবে।” আল হারিছ বলেছেন, “যে ব্যক্তি সুস্থ থাকতে চায় তার উচিত দুপুরের খাবার ও রাতের খাবার আগেভাগে গ্রহণ করা (খাওয়া)”। প্লেটো বলেছেন, পাঁচটি জিনিস শরীরকে দুর্বল করেঃ এমনকি মাঝে মাঝে মারাত্মকও হয়ে যায়। ১. দরিদ্র হওয়া। ২. প্রিয়জন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া। ৩. টক পানীয় পান করা (অল্প পরিমাণ টক পানীয় অবশ্য শরীরের পক্ষে ভালো আর বেশি পরিমাণে টক পানীয় পান করা ক্ষতিকর। -অনুবাদক) ৪. উপদেশ প্রত্যাখ্যান করা এবং ৫. শুধুমাত্র মূর্খ থাকাই ন

সাহাবাদের ২৫ টি প্রশ্ন এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর উত্তর।

  সাহাবাদের ২৫ টি প্রশ্ন এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর উত্তর। ১. প্রশ্নঃ আমি ধনী হতে চাই! উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, অল্পতুষ্টি অবলম্বন কর; ধনী হয়ে যাবে। ২. প্রশ্নঃ আমি সবচেয়ে বড় আলেম (ইসলামী জ্ঞানের অধিকারী) হতে চাই! উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, তাক্বওয়া (আল্লাহ্ ভীরুতা) অবলম্বন কর, আলেম হয়ে যাবে। ৩. প্রশ্নঃ সম্মানী হতে চাই! উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সৃষ্টির কাছে চাওয়া বন্ধ কর; সম্মানী হয়ে যাবে। ৪. প্রশ্নঃ ভাল মানুষ হতে চাই! উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, মানুষের উপকার কর। ৫. প্রশ্নঃ ন্যায়পরায়ণ হতে চাই! উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, যা নিজের জন্য পছন্দ কর; তা অন্যের জন্যেও পছন্দ কর। ৬. প্রশ্নঃ শক্তিশালী হতে চাই! উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, আল্লাহর উপর ভরসা কর। ৭. প্রশ্নঃ আল্লাহর দরবারে বিশেষ মর্যাদার অধিকরী হতে চাই! উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, বেশী বেশী আল্লাহকে স্মরণ (জিকির) কর। ৮. প্রশ্নঃ রিযিকের প্রশস্ততা চাই! উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সর্বদা অযু অবস্থায় থাকো। ৯. প্রশ্নঃ আল্লাহর কাছে সমস্ত দোয়া কবুলের আশা করি! উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ

১৭ শ্রেণীর মানুষ মুসলিম হয়েও জান্নাতে যাবে না

  ১৭ শ্রেণীর মানুষ মুসলিম হয়েও জান্নাতে যাবে না =========================== ওই ধরনের কিছু গুনাহ নিম্নরূপ— (কিন্তু আপনি যদি মনে প্রাণে তাওবা করেন, এবং নিজের ভুল সংশোধন করেন, আল্লাহ্‌ তো রাহমানুর রাহিম, উনি কি না করতে পারে। সাবধানতা অবলম্বন করুন।) (১) হারাম খাদ্য ভক্ষণকারী জান্নাতে যাবে না : হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে দেহ হারাম খাদ্য দ্বারা লালিত-পালিত হয়েছে, তা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। ’ (সুনানে বায়হাকি : ৫৫২০) . (২) আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে যাবে না : হজরত জুবাইর ইবনে মুতইম (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না। ’ (সহিহ বুখারি : ৫৫২৫) . (৩) প্রতিবেশীকে কষ্ট দানকারী জান্নাতে যাবে না : হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যার অত্যাচার থেকে প্রতিবেশীরা নিরাপদ নয়, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। ’ (সহিহ মুসলিম : ৬৬) . (৪) মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান ও দাইয়ুস জান্নাতে যাবে না : রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তিন শ্রেনির লোক জান্নাতে

রিজিকের স্তর সমূহঃ

  রিজিকের সর্বনিম্ন স্তরঃ টাকা, পয়সা, অর্থ,   সম্পদ। সর্বোচ্চ স্তরঃ শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা। সর্বোত্তম স্তরঃ পুণ্যবান স্ত্রী ও পরিশুদ্ধ নেক সন্তান পরিপূর্ণ স্তরঃ মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি।   রিজিক খুব গভীর একটি বিষয় যদি আমরা বুঝতে পারি।   আমি পুরো জীবনে কত টাকা আয় করবো সেটা লিখিত, কে আমার জীবনসঙ্গী হবে সেটা লিখিত, কবে কোথায় মারা যাবো সেটা লিখিত।   আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, আমি কতগুলো দানা ভাত দুনিয়াতে খেয়ে তারপর মারা যাবো সেটা লিখিত। একটি দানাও কম না, একটিও বেশি না। ধরেন এটা লিখিত যে আমি সারাজীবনে ১ কোটি টাকা আয় করবো, এই সিদ্ধান্ত আল্লাহ্‌ তায়ালা নিয়েছেন।   আমি হালাল উপায়ে আয় করবো না হারাম উপায়ে আয় করবো সেই সিদ্ধান্ত আমার। যদি ধৈর্য ধারণ করি, আল্লাহ্‌ তায়ালার কাছে চাই, তাহলে হালাল উপায়ে ওই ১ কোটি আয় করেই আমি মারা যাবো, হারাম উপায়ে হলেও ওই ১ কোটিই … নাথিং মোর, নাথিং লেস! আমি যেই ফলটি আজকে ঢাকা বসে খাচ্ছি, সেটা হয়ত ইতালি কিংবা থাইল্যান্ড থেকে ইমপোর্ট করা। ওই গাছে যখন মুকুল হয়েছে তখনই এটা নির্ধারিত যে সেটি আমার কাছে পৌঁছাবে। এর মধ্যে কত পাখি ওই ফলের উপর বসেছে, কত মানুষ এই ফলটি পাড়