সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রমজানে ঋতুস্রাব/মাসিক/পিরিয়ড অবস্থায় করণীয়ঃ

 আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি, ওয়া বার-কাতু্হ্.!

🤗❤️
_ রমজানে ঋতুস্রাব/মাসিক/পিরিয়ড অবস্থায় করণীয়ঃ
১. প্রথমতঃ বলুন আলহামদুলিল্লাহ। কারণ পিরিয়ড অবস্থায় রোজা না রেখে আল্লাহর হুকুম পালনের জন্য আপনি প্রতি মুহূর্তে সওয়াব/নেকি পাচ্ছেন।
২. 'বিসমিল্লাহ' দিয়ে সবকিছু শুরু করুন।
৩. আল্লাহর ৯৯টি নাম মুখস্থ করুন।
৪.পবিত্র কোরআন পড়তে না পারার জন্য মন খারাপ করার কোন কারণ নাই। আপনি সূরা ইখলাস পড়তে পারেন। এটি সম্পূর্ণ কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ। তাই পরপর ৩ বার পাঠ করুন। এভাবে ২১বার পর্যন্ত অথবা তারও বেশি বার পাঠ করতে পারলে মাশাল্লাহ।
৫. প্রচুর যিকির করুন এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) - এর উপর প্রচুর দুরূদ প্রেরণ করুন।
৬. বেশি বেশি ইস্তিগফার করুন (আস্তাগফিরুল্লাহ!)
৭.ছোট ছোট দোয়া ও অধিক তাৎপর্যপূর্ণ আয়াত সমূহ অর্থসহ মুখস্থ করুন।
৮. সহীহ হাদিস পড়ুন।
৯. কুরআনের তাফসীর বা ওয়াজ শুনুন।
১০. মাতৃভাষায় কুরআনের অনুবাদ পড়ুন।
১১. হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) এর জীবনী পড়ুন।
১২. উম্মুল মু'মীনিন ও মহিলা সাহাবিয়াদের গল্প
বা সাহাবা ই কিরামের গল্প/শিক্ষনীয় কাহিনী পড়ুন।
১৩. স্কুল-কলেজের, চেনা-জানা অথবা ঘরে বা বাইরের বোনদের ইসলামের দাওয়াত দিন এবং তাদের সাথে ইসলামী নলেজ শেয়ার করুন।
১৪. গীবত ও কুৎসা থেকে বিরত থাকুন কারণ এটি সমস্ত ভাল কাজের প্রতিদান ধ্বংসকারী।
১৫. নবী (সাঃ) এর সুন্নাহ শিখুন এবং এটিকে পুনরুজ্জীবিত করুন। (যেমন: ছোটদের সালাম দেয়া, সবার সাথে উত্তম আচরণ করা ইত্যাদি।)
১৬. আপনার ছোট ছোট ভাইবোনদের- কিভাবে উত্তমরূপে ওযু করতে হয়, সালাত আদায় করতে, সালাতে দোয়া করতে হয়, হিজাব পরতে হয় ইত্যাদি শিক্ষা দিন।
১৭. দশ উর্ধ্ব বা তার কাছাকাছি বয়সের বাচ্চাদেরকে রোজা রাখার নির্দেশ এবং তা পালনে সহায়তা করুন(তাদেরকে আল্লাহর হুকুম মানতে গাইড করুন)
১৮. তাদেরকে শিষ্টাচার এবং ভদ্রতা শিক্ষা দিন এছাড়া অন্যের উপকার করার দীক্ষা দিন।
১৯. রোজাদারের জন্য খাবার রান্না করুন, আপনার মাকে রান্না, গৃহস্থালির অন্যান্য কাজে ও ইফতারি পরিবেশনে সহায়তা করুন।
২০. সদকা প্রদান করুন (এমনকি এটি হতে পারে হাসি বা সুন্দর আচরণও)
২২. সেহরির সময় সবাইকে জাগিয়ে/ডেকে তুলুন।
২৩. যা কিছুই করবেন আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের নিয়তে করবেন।
২৪. যারা যারা এই পোস্ট থেকে উপকৃত হবে বলে মনেকরছেন তাদের সাথে শেয়ার বা ট্যাগ করতে পারেন।
নবী (সাঃ) বলেছেন: "যে ভাল কাজের দিকনির্দেশনা করে সে তার প্রতিদান হিসাবে পুরস্কৃত হয়" (মুসলিম)।
রমজানে ভাল কাজে ৭০গুণ বেশি প্রতিদান দেয়া হয়। আল্লাহ চাইলে সেটা বাড়িয়ে দিতে পারেন তার থেকেও অধিকগুণ বেশি।
জাযাকিল্লাহু খাইরান..! 💜🥀

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমাদের মা বোনদের জন্য কিছু প্রশ্ন উত্তর ।

  স্ত্রী: আজকে তোমাকে আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।। স্বামী: বল। স্ত্রী: তুমি এত তোমার বৃদ্ধা মাকে নিয়ে ভাবো কেন। আমাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। আমাদের ছেলে মেয়ের কোন চিন্তা করবার না?? স্বামী: আমি ঘরের বড় ছেলে এটা আমার দায়িত্ব।আর তা ছাড়া মা বাবা আমাকে অনেক কষ্টে মানুষ করেছেন আমি তাকে নিয়ে না ভাবলে কে ভাববে। স্ত্রী: তোমার তো আরো ভাই আছে তারা দেখবে। স্বামী: তাদের স্ত্রীরাও যদি তোমার মত এমন বলে । তাহলে আমার বৃদ্ধা মাকে কে দেখবে?? স্ত্রী: আমি এতো কিছু জানিনা। আমি পারবো না তোমার মায়ের খাটনি খাটতে।আর তোমাকেও দিবো না তোমার মায়ের পিছনে এত টাকা খরচ করতে। স্বামী: আজ থেকে আমি আমার মায়ের পায়ের নিচে ঘুমাবো। তোমার পাশে ঘুমানোর চেয়ে আমার মায়ের পায়ের নিচে ঘুমানো হাজার গুণ শান্তি! স্ত্রী: রাগান্বিত হয়ে!!আজ বুঝলাম তুমি আমাকে একটুও ভালোবাসো না!! তোমার সাথে আর সংসার করা যাবে না!! আচ্ছা আরেকটা কথার উত্তর দাও! তুমি আমাকে না তোমার মাকে বেশি ভালোবাসো!!? স্বামী: দুজনকে আমার জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসি!! স্ত্রী: কাকে বেশি! ধরো আমি আর তোমার মা একটা বিপদে পড়েছি! যে কেউ একজনকে বাঁচাতে পারবে!! এখন

স্বামীকে বশ করার হালাল যাদু

অনেকেই অভিযোগ করেন স্বামী তার কথা শুনে না বা পরনারীতে আসক্ত। এজন্যও বিভিন্ন রুকইয়াহও চেয়ে বসেন। কিন্তু আপনি কি জানেন সম্পূর্ণ হালাল ভাবেই আপনি আপনার স্বামীকে যাদু করতে পারেন? এর জন্য দরকার একটু সচেতনতা।  আমাদের সমাজে স্বামী-স্ত্রী অমিলের পিছনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একে অপরের প্রতি দায়িত্ব, অধিকার ও ভালোবাসার অভাব কাজ করে। বেশিরভাগ দম্পত্তিই জানেন না তাদের এই “বিবাহ বন্ধনের উদ্দেশ্য কি”। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা সূরাতুর রুম এর ২১ নং আয়াতে বলেনঃ “এবং তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে হচ্ছে তিনি তোমাদের মধ্যে থেকে তোমাদের জন্য সঙ্গী সৃষ্টি করেছেন, যেন তোমরা তাদের মাঝে প্রশান্তি (সুকুন) খুঁজে পাও এবং তিনি তোমাদের মাঝে দয়া ও ভালোবাসা সৃষ্টি করেছেন।” এই আয়াতে আল্লাহ আমাদেরকে বিয়ের উদ্দেশ্য বলে দিয়েছেন। আল্লাহ আমাদের সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন যেন আমরা একে অপরের মাঝে “প্রশান্তি” খুঁজে পাই। এই প্রশান্তি বলতে শারিরীক ও মানসিক দুইধরণের প্রশান্তিকেই অন্তর্ভুক্ত করে। শারিরীক প্রশান্তির কথা সবাইই বুঝি, কিন্তু মানসিক প্রশান্তির ব্যাপারে কতজনই বা সচেতন। আপনি চিন্তা করুন খাদিজাহ বিনতে খুইয়ালিদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার কথা

মাহারাম এবং গায়রে মাহারাম কারা ?

মাহারামঃ  যে সকল পুরুষের সামনে নারীর দেখা দেওয়া, কথা বলা  জায়েজ এবং যাদের সাথে বিবাহ বন্ধন সম্পূর্ণ  হারাম তাদের কে শরীয়তের পরিভাষায় মাহরাম বলে। গায়রে মাহারামঃ  যে সকল পুরুষের সামনে যাওয়া নারীর জন্য শরীয়তে জায়েজ নয় এবং যাদের সাথে বিবাহ বন্ধন বৈধ তাদের কে গায়রে মাহরাম বলে। সূরা আন নূরের ৩১ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা নারীর মাহরাম নির্ধারিত করে দিয়েছেন । সূরা আন নূরের পূর্ণ আয়াতঃ "আর মুমিন নারীদেরকে বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ না করে। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাই-এর ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীগণ, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে নিজেদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজেদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা