সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

জীবনে খুশি হওয়ার কিছু ইসলামিক উপদেশ ।

 “এবং আমি যখন অসুস্থ হয়ে পড়ি তখন তিনিই আমাকে সুস্থ করে তোলেন।” ( আশ শোয়ারা -৮০)

এখানে বিভিন্ন বিষয়ে এমন কিছু উপদেশ উল্লেখ করা হলো, যা সবার জন্য কল্যাণকর।
আবকারাত বলেছেন, “কঠোর পরিশ্রম করে, অলসতা পরিহার করে, মদ্যপান ত্যাগ করে এবং অতিরিক্ত বা বেশি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থেকে দীর্ঘকাল সুস্থ থাকুন।”
কোন একজন বিজ্ঞ ব্যক্তি বলেছেন, “যে সুস্থতা কামনা করে তার উচিত যথাযথভাবে ও উত্তমরূপে আহার করা। তার পরিমিত পানি পান করা উচিত। দুপুরের আহারের পর সামান্য সময় শুয়ে বিশ্রাম করা ও রাতের খাবারের পর কিছুক্ষণ হাটা বিধেয়। পেট ভরে আহার করার ঠিক পরেই গোসল করা থেকে সাবধান থাকতে হবে।”
আল হারিছ বলেছেন, “যে ব্যক্তি সুস্থ থাকতে চায় তার উচিত দুপুরের খাবার ও রাতের খাবার আগেভাগে গ্রহণ করা (খাওয়া)”।
প্লেটো বলেছেন, পাঁচটি জিনিস শরীরকে দুর্বল করেঃ এমনকি মাঝে মাঝে মারাত্মকও হয়ে যায়।
১. দরিদ্র হওয়া।
২. প্রিয়জন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া।
৩. টক পানীয় পান করা (অল্প পরিমাণ টক পানীয় অবশ্য শরীরের পক্ষে ভালো আর বেশি পরিমাণে টক পানীয় পান করা ক্ষতিকর। -অনুবাদক)
৪. উপদেশ প্রত্যাখ্যান করা এবং
৫. শুধুমাত্র মূর্খ থাকাই নয় বরং জ্ঞানীদেরকে উপহাস করা।
চারটি জিনিস শরীরকে দুর্বল করে-
১. অতিরিক্ত কথা বলা
২. অতিরিক্ত ঘুমানো
৩. অতিরিক্ত খাওয়া এবং
৪. অতিরিক্ত যৌন ক্রিয়া করা।
অতিরিক্ত কথা মস্তিষ্কের শক্তি ও তীক্ষ্মতাকে দুর্বল করে দেয় এবং মানুষকে দ্রুত বৃদ্ধ করে দেয়। অতিরিক্ত ঘুম অন্তরকে অন্ধ করে দেয় এবং মানুষকে অলস ও নির্মম করে দেয়। ঘন ঘন যৌন ক্রিয়া মানুষের শক্তি কমিয়ে ফেলে এবং শরীরের উপর ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
চারটি জিনিস শরীরকে ধ্বংস করে দেয়-
১. উদ্বিগ্নতা, দুশ্চিন্তা বা টেনশন,
২. দুঃখ,
৩. ক্ষুধা এবং
৪. অনিদ্রা বা নিদ্ৰাহীনতা।
চারটি জিনিস হৃদয়ে প্রশান্তি বয়ে আনে-
১. শ্যামলশোভা, শ্যামলিমা বা সবুজ গাছ-পালার দিকে তাকানো,
২. প্রবাহিত পানির দিকে তাকানো,
৩. প্রিয়জনের সাথে সাক্ষাৎ করা এবং
৪. ফলন্ত গাছের ফলের দিকে তাকানো।
চারটি বিষয় বা কাজ চোখের দৃষ্টি শক্তিকে দুর্বল করে দেয়-
১. খালি পায়ে হাঁটা।
২. খুব ভোরে ও ঘুমানোর আগে ভ্রুকুটি করে তাকানো,
৩। ঘন ঘন কাদা এবং
৪. ক্ষুদ্রাক্ষরে মুদ্রিত লেখা পাঠ করা।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমাদের মা বোনদের জন্য কিছু প্রশ্ন উত্তর ।

  স্ত্রী: আজকে তোমাকে আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।। স্বামী: বল। স্ত্রী: তুমি এত তোমার বৃদ্ধা মাকে নিয়ে ভাবো কেন। আমাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। আমাদের ছেলে মেয়ের কোন চিন্তা করবার না?? স্বামী: আমি ঘরের বড় ছেলে এটা আমার দায়িত্ব।আর তা ছাড়া মা বাবা আমাকে অনেক কষ্টে মানুষ করেছেন আমি তাকে নিয়ে না ভাবলে কে ভাববে। স্ত্রী: তোমার তো আরো ভাই আছে তারা দেখবে। স্বামী: তাদের স্ত্রীরাও যদি তোমার মত এমন বলে । তাহলে আমার বৃদ্ধা মাকে কে দেখবে?? স্ত্রী: আমি এতো কিছু জানিনা। আমি পারবো না তোমার মায়ের খাটনি খাটতে।আর তোমাকেও দিবো না তোমার মায়ের পিছনে এত টাকা খরচ করতে। স্বামী: আজ থেকে আমি আমার মায়ের পায়ের নিচে ঘুমাবো। তোমার পাশে ঘুমানোর চেয়ে আমার মায়ের পায়ের নিচে ঘুমানো হাজার গুণ শান্তি! স্ত্রী: রাগান্বিত হয়ে!!আজ বুঝলাম তুমি আমাকে একটুও ভালোবাসো না!! তোমার সাথে আর সংসার করা যাবে না!! আচ্ছা আরেকটা কথার উত্তর দাও! তুমি আমাকে না তোমার মাকে বেশি ভালোবাসো!!? স্বামী: দুজনকে আমার জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসি!! স্ত্রী: কাকে বেশি! ধরো আমি আর তোমার মা একটা বিপদে পড়েছি! যে কেউ একজনকে বাঁচাতে পারবে!! এখন

স্বামীকে বশ করার হালাল যাদু

অনেকেই অভিযোগ করেন স্বামী তার কথা শুনে না বা পরনারীতে আসক্ত। এজন্যও বিভিন্ন রুকইয়াহও চেয়ে বসেন। কিন্তু আপনি কি জানেন সম্পূর্ণ হালাল ভাবেই আপনি আপনার স্বামীকে যাদু করতে পারেন? এর জন্য দরকার একটু সচেতনতা।  আমাদের সমাজে স্বামী-স্ত্রী অমিলের পিছনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একে অপরের প্রতি দায়িত্ব, অধিকার ও ভালোবাসার অভাব কাজ করে। বেশিরভাগ দম্পত্তিই জানেন না তাদের এই “বিবাহ বন্ধনের উদ্দেশ্য কি”। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা সূরাতুর রুম এর ২১ নং আয়াতে বলেনঃ “এবং তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে হচ্ছে তিনি তোমাদের মধ্যে থেকে তোমাদের জন্য সঙ্গী সৃষ্টি করেছেন, যেন তোমরা তাদের মাঝে প্রশান্তি (সুকুন) খুঁজে পাও এবং তিনি তোমাদের মাঝে দয়া ও ভালোবাসা সৃষ্টি করেছেন।” এই আয়াতে আল্লাহ আমাদেরকে বিয়ের উদ্দেশ্য বলে দিয়েছেন। আল্লাহ আমাদের সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন যেন আমরা একে অপরের মাঝে “প্রশান্তি” খুঁজে পাই। এই প্রশান্তি বলতে শারিরীক ও মানসিক দুইধরণের প্রশান্তিকেই অন্তর্ভুক্ত করে। শারিরীক প্রশান্তির কথা সবাইই বুঝি, কিন্তু মানসিক প্রশান্তির ব্যাপারে কতজনই বা সচেতন। আপনি চিন্তা করুন খাদিজাহ বিনতে খুইয়ালিদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার কথা

মাহারাম এবং গায়রে মাহারাম কারা ?

মাহারামঃ  যে সকল পুরুষের সামনে নারীর দেখা দেওয়া, কথা বলা  জায়েজ এবং যাদের সাথে বিবাহ বন্ধন সম্পূর্ণ  হারাম তাদের কে শরীয়তের পরিভাষায় মাহরাম বলে। গায়রে মাহারামঃ  যে সকল পুরুষের সামনে যাওয়া নারীর জন্য শরীয়তে জায়েজ নয় এবং যাদের সাথে বিবাহ বন্ধন বৈধ তাদের কে গায়রে মাহরাম বলে। সূরা আন নূরের ৩১ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা নারীর মাহরাম নির্ধারিত করে দিয়েছেন । সূরা আন নূরের পূর্ণ আয়াতঃ "আর মুমিন নারীদেরকে বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ না করে। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাই-এর ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীগণ, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে নিজেদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজেদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা